Yunus Emre Bangla Subtitle

 ইউনুস এমরে (Yunus Emre)  সকল ভলিউমের লিংক নিচে দেওয়া হলো।


ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে : 


ইউনুস এমরে (Yunus Emre) ছিলেন সূফী ঘরনার একজন আধ্যাত্মিক কবি। তাঁর জন্ম ১২৩৮ সালে এবং মৃত্যু ১৩২০ সালে। তার কবিতার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় তুরস্কের আনাতোলিয়া অঞ্চলে। অর্থাৎ তার দ্বারা আনাতোলিয়ার জনগণ এবং সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। আধুনিক তুরস্কের নতুন যুগ যখন কেবল মাত্র শুরু হয়, তখন তিনি কবিতা লিখতেন আনাতোলিয়ার টার্কিশ প্রচলিত ভাষায়। ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতভাবে ১৯৯১ সালে ঘোষিত একটি প্রস্তাব পাস করে, কবির ৭৫০তম জন্মবার্ষিকীকে, “ইন্টারন্যাশনাল ইউনুস এমরে ইয়ার” (আন্তর্জাতিক ইউনুস এমরে বছর) হিসাবে ঘোষণা করে।


এক কথায় বলতে গেলে ইউনূসের এমরে তুর্কী সাহিত্যের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং বর্তমানেও আনাতোলিয়াসহ তুরস্কে তার কবিতার প্রভাব লক্ষণীয়।

তার অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কেননা ইউনুস এমরে, আহমেদ ইয়েসভি ও সুলতান ওয়ালাদের পরে, ফারসি বা আরবি ভাষার পরিবর্তে নিজের যুগের এবং অঞ্চলের কথ্য তুর্কি ভাষায় রচনা করা প্রথম কবিদের একজন। তাঁর কথাসাহিত্য কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমা আনাতোলিয়ায় সমসাময়িকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে এখনো। ইহা বহু সংখ্যক বেনামী লোক-কবি, লোক-গান, পরীদের কাহিনী, কৌতুক এবং হিতোপদেশের ভাষা। এইটা অনেকটা এরকম অঘুজদের দাদা কুরকুত বের এর মত। তুর্কি লোককাহিনী যেটি একটি যুগোপযোগী যন্ত্র হিসেবে তার ও তার সমসাময়িকদের কাছে মৌখিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছিল তাদের মত করে  টিকারমামলারের ব্যবহারে ইউনুস এমরকে অনুপ্রাণিত করেছিল। মঙ্গোলরা যখন ১২৪৩ সালে আনাতোলিয়া আক্রমণ করে কোশ দাগের যুদ্ধে   তখন ইউনুস এমরের কবিতা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং তিনি সকলের মাঝে পরিচিত লাভ করেন। যার কারণে আজারবাইজান থেকে বলকান পর্যন্ত বিস্তৃত কয়েকটি দেশে তিনি একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ।  যার মধ্যে সাতটি ভিন্ন এবং বিস্তৃত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এলাকাগুলি তাদের সমাধিগুলির মধ্যে তার সমাধি থাকার বিষয় দাবী করে বিতর্ক করে।


তার লেখা কবিতা ও গান এখনো তুরস্কের সূফী ঘরনার শিল্পীরা গেয়ে থাকে দেশ-বিদেশে সূফী ঘরনার অনুষ্ঠানে। তার বেশ কিছু কবিতা বাংলায় অনূদিত হয়েছে এবং তার কবিতা বাংলায় অনুবাদ করে একটিও বইও অনলাইন বই বিক্রির সাইটে দেখা যায়।

Yunuas emre Season 1

Yunuas emre Season 2

The End